মঙ্গলবার, নভেম্বর ১১, ২০২৫

বান্দরবানে রাংগোয়াই আমে স্বর্ণালী সম্ভাবনা

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জুম চাষের পাশাপাশি দিন দিন বাড়ছে জনপ্রিয় ফল রাংগোয়াই আমের আবাদ। পাহাড়ের উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। স্বাদে ভালো, আকারে বড় এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এতে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বান্দরবানের রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে রাংগোয়াই আমের চাষ হচ্ছে। যদিও আম্রপালি, হাড়িভাঙ্গা ও রুপালীসহ বিভিন্ন বিদেশি জাতের আম এখানে চাষ হয়, তবে স্থানীয় জাতের রাংগোয়াই আমই সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে।


চাষিরা জানান, প্রতি কেজি রাংগোয়াই আম বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন।

চিম্বুক এলাকার চাষি সিনক্র ম্রো বলেন, ‘বহু বছর ধরে রাংগোয়াই আমের বাগান করছি। অন্যান্য আমের তুলনায় এই আমের বাগানে খরচ কম, পরিশ্রমও কম করতে হয়। এ বছর ফলন বেশ ভালো, দামও মোটামুটি পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমরা খুশি।’

একই এলাকার ফারুকপাড়া গ্রামের ফ্লাওয়ার বম বলেন, ‘রাংগোয়াই আমের দাম তুলনামূলক কম হলেও চাহিদা বেশি। বিশেষ করে আচার ও চাটনি তৈরিতে এই আম ব্যবহার হয়। পাইকাররা আমাদের বাগান থেকেই আম সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এজন্য আমরা বেশি করে এই আমের চাষ করি।’
এ বিষয়ে বান্দরবান কৃষি বিভাগের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ বলেন, ‘বান্দরবানে অধিকাংশ কৃষকই রাংগোয়াই আমের বাগান করেন এবং ফলনও ভালো হয়। তবে অনেক কৃষক যথাযথ পরিচর্যা না করায় প্রত্যাশিত উৎপাদন পাওয়া যায় না। সঠিক পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব।’
 
তিনি আরও জানান, চলতি বছর বান্দরবানে ৭ হাজার ১৬৭ হেক্টর জমিতে রাংগোয়াই আমের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ফলনের।

আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ